,

দিনাজপুরে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, বিপর্যস্ত জনজীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে উত্তরের জেলা দিনাজপুরে। যেটি জেলার এ মৌসুমের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। সেই সঙ্গে ঠান্ডা বাতাসের প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এই তাপমাত্রা আরও কয়েকদিন বিরাজ করবে।

দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, আজ শনিবার সকালে এই জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গতকাল শুক্রবার এ তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক শুন্য ডিগ্রী সেলসিয়াস। গত বৃহস্পতিবার ছিল ১১ দশমিক শুন্য ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং বুধবার ছিল ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। গত কয়েকদিন ধরেই এই জেলায় ঘন কুয়াশা পড়ছে। হিমেল বাতাস বইছে ঘণ্টায় ৫ থেকে ৬ কিলোমিটার বেগ পর্যন্ত।

তীব্র শীতের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। আজ সকাল থেকে সূর্যের মুখ দেখা যায়নি। শুক্রবার সূর্য উঠেছিল শেষ বিকেলের দিকে। মাত্র আধাঘণ্টারও কম সময় স্থায়ী হয় সূর্যের আলো। এর ফলে শীতের তীব্রতা এই এলাকায় একটু বেশিই রয়েছে। আর এই অবস্থায় খুব প্রয়োজন ছাড়া মানুষজন ঘর ছেড়ে বাইরে বের হচ্ছেন না।

শীতের কারণে সমস্যায় পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষেরা। ঠিকভাবে কাজ করতে না পারায় তাদের আয় উপার্জনে ব্যাঘাত ঘটছে। আবার একটু কাজ করতেই নাজেহাল হয়ে পড়ছেন। শীত নিবারণের জন্য পুরাতন মোটা কাপড় (হকার্স মার্কেট) দোকানে ভিড় বাড়ছে। এই শীত ও ঘন কুয়াশা কৃষকদেরও চিন্তার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। মাঠে থাকা আলু ও টমেটো ক্ষেতে দেখা দিয়েছে শীতজনিত রোগের প্রাদূর্ভাব। আবার বোরো চারাও ঠিকভাবে অঙ্কুরোদগম হচ্ছে না।

বুনাপাথার এলাকার পরিমল সরকার জানান, বোরো বীজতলায় চারা গজাচ্ছে না। শীতের কারণে চারা একটু কম গজায়। আবার যেগুলো গজিয়েছে; সেগুলোও লাল বর্ণ ধারণ করছে। কিছু কিছু মরে যাচ্ছে।

কালিতলা এলাকার অটোরিকশা চালক ফরিদুল ইসলাম বলেন, সকালে অটো নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু রাস্তায় লোকজন কম। তাই ভাড়া কম হচ্ছে। দুপুর হতে না হতেই আমার অবস্থা খারাপ। ঠান্ডা বাতাস আর কনকনে শীত। আর কাজ করবো না, বাড়িতে চলে যাবো।

দিনাজপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের আবহাওয়া সহকারী আসাদুজ্জামান বলেন, এই জেলায় মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহ বিরাজ করছে। গত কয়েকদিন ধরেই তাপমাত্রা কমছে। এটি আরও কয়েকদিন স্থায়ী হতে পারে। ঘন কুয়াশার প্রভাব থাকবে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা কিছুটা পরিবর্তন হতে পারে। এরপর ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাবে।

 

এই বিভাগের আরও খবর